সূত্র:
পত্রিকার নাম: দৈনিক আমাদের সময় |
পাতা নং: শেষ পাতা |
খবরের শিরনাম: দুর্গম পাহাড়ে হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার সড়ক |
প্রকাশের সময়: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:০০ এএম |
খবরের লিংক: https://www.dainikamadershomoy.com/details/415740 |
সংবাদদাতা: জিয়াউর রহমান জুয়েল |
বিস্তারিত খবর:
দুর্গমতার কারণে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় হেঁটে যাতায়াত করা বেশ দুষ্কর। এখান থেকে নৌপথ কিংবা হাঁটাপথে অন্তত ১১টি নদী-খাল পেরিয়ে কাপ্তাই হয়ে রাঙামাটি জেলা সদরে যাতায়াত যেন ভোগান্তির আরেক নাম। এখানে সড়ক এবং সেতু হবে- বিলাইছড়িবাসীর কাছে এটা ছিল স্বপ্নের মতো। তাদের সেই স্বপ্ন রূপ নিচ্ছে বাস্তবে।পশ্চাদপদ পাহাড়ি জনপদ বিলাইছড়িবাসীর লালিত সেই স্বপ্নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিলাইছড়ি উপজেলা সদর থেকে কাপ্তাই উপজেলার কারিগরপাড়া বাজার পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার পাকা সড়ক এবং তাতে যুক্ত হবে ১১টি সেতু। এ জন্য ৩৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি। গত ৪ মে একনেকের সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের অনুমোদন দেন।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাঙামাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে। সম্প্রতি রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ৪০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে কাপ্তাই অংশে ৩১ কিলোমিটার এবং বিলাইছড়ি অংশে ৯ কিলোমিটার পড়েছে। সড়কটির বেশির ভাগ পথই উঁচু-নিচু পাহাড়বেষ্টিত। সড়কটি সংযুক্ত করতে ১১টি সেতু নির্মাণ করা হবে। যার সাতটি কাপ্তাই উপজেলা অংশে আর চারটি বিলাইছড়ি উপজেলা অংশে হবে। বিলাইছড়ি অংশের প্রতিটি সেতু হবে ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে।প্রথম সাক্ষাতের সুযোগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলেন বিলাইছড়ি আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অমর কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। এখন সেই দাবিরই বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে দেশে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পরও এত বড় প্রকল্প নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিলাইছড়িবাসী কৃতজ্ঞ। আমাদের আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংক্য মারমা বলেন, সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলার লাখো মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। কৃষিপণ্যের বিপণন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ জীবনমানের উন্নয়ন ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটবে।বিলাইছড়ি সদরের বাসিন্দা ইউপি সদস্য রিতা চাকমা বলেন, নৌপথে প্রসূতি ও মুমূর্ষু রোগীদের জরুরি চিকিৎসার জন্য রাঙামাটি কিংবা চট্টগ্রাম নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। সড়ক নির্মাণ হলে এ কষ্ট থাকবে না। অনেক বছরের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আমরা গাড়ি করে শহরে যাব।প্রকল্পের কিছু কাজের টেন্ডার ও স্টিমিট প্রক্রিয়াধীন আছে, তবে শিগগিরই কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন রাঙামাটি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ শফি। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে ২০ কিলোমিটার সড়ক ও তিনটি সেতুর টেন্ডার শেষ হয়েছে। বাকি সেতু ও সড়কের স্টিমিট তৈরির কাজ চলছে।’রাঙামাটির এমপি দীপংকর তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় এ সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। এর ফলে পিছিয়ে থাকা এ অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস